
সিঙ্গাপুর প্রবাস জীবনে আমি “আসাদুজ্জামান” ভাইকে সারা জীবন মনে রাখতে চাই – রকিব হাসান মুন্না
আমাদের প্রবাসীঃ আমরা প্রবাসী শুধু বড় ভাইদের বদনামেই ব্যস্ত, এতো বদনামের পরেও যারা ভালো মানুষ তারা ভালো কাজ করেই যাচ্ছেন, আর করেই যাবেন সারা জীবন। কারণ, তাদের হৃদয়টা যে সবসময় মানুষ ও মানবতার জন্য সবসময় কাঁদে! তেমনি একজন ভালো মানুষ আসাদুজ্জামান ভাইয়ের উপকারের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে তুলে ধরেছেন রাকিব হাসান মুন্না ভাই। এমনিভাবে আমরা যদি ভালো কাজের প্রশংসা করি তাহলে ভালো মানুষ গুনিজনেরা উৎসাহিত হবেন এবং ভালো কাজ বাড়বে সমাজে। রাকিব হাসান মুন্না ভাইয়ের ফেইসবুক ওয়াল থেকে সরাসরি পোস্টটি তুলে ধরা হলো-
সিঙ্গাপুর প্রবাস জীবনে আমি “আসাদুজ্জামান” ভাইকে সারা জীবন মনে রাখতে চাই।
>সিঙ্গাপুর ঢুকে প্রথম এক বছর জীবনের সর্বোচ্চ পরিশ্রম করে কোম্পানিতে রিনিউয়াল করাতে পারিনাই, টিকিট কাটা হয়ে গেছিল! বসকে অনেক রিকুয়েস্ট করে ট্রান্সফারের জন্যে রাজি করাই। কিন্তু শর্ত ছিল দুই দিনের মধ্যে আইপি না বের করতে পারলে দেশে চলে যাইতে হবে, কতো ভয়ংকর শর্ত!
আমার প্রবাস জীবন শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছিল, নিরুপায় হয়ে আল্লাহকে স্বরণ করে সর্বোত্তম চেষ্টা করতে লাগলাম। ঠিক এই সময় আল্লাহ আমাকে আসাদুজ্জামান ভাইয়ের মতো একজন মহান মানুষের সঙ্গে পরিচয় করায় দেন। যিনি আমার জন্য শুধুমাত্র ১০ ঘন্টায় আইপিএ বের করে দেন, আলহামদুলিল্লাহ্! অনেক অনেক শুকরিয়া মহান আল্লাহ পাকের প্রতি এবং শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা আসাদুজ্জামান ভাইয়ের প্রতি! সেসময়য অনেক বড় বিপদ থেকে আল্লাহ রক্ষা করেন আমায়। সুযোগ পেয়ে পরবর্তীতে class 3 ও class 4 ড্রাইভিং সম্পন্ন করি এবং আবারো সেই আসাদুজ্জামান আসাদ ভাই আমার জন্য S pass জবের ব্যবস্থা করেন। আমার অনেক বড় বড় বিপদে আসাদুজ্জামান ভাই আমার অনেক সহযোগিতা করেছেন। যার ঋন আমি কোন দিন শোধ করতে পারবো না। তাই ওনার উপকার আমি সারা জীবন মনে রাখবো এবং ওনার আদর্শ বুকে ধারণ করে মানুষের কল্যাণে সাধ্যমত সারাজীবন চেষ্টা করে যাবো ইনশাআল্লাহ!
#ছবি ২০২১ কোভিড-১৯ তখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি তখনও।
Leave a Reply