প্রিয় কবি কে এম সফর আলীর জন্মদিনে
শুভেচ্ছা! শতাব্দীর সাক্ষী হয়ে থাকুন।
—–নাজনীন সুরাইয়া পরাগ
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর
সাহিত্য-সংস্কৃতির নিবেদিত প্রাণ কবি, সম্পাদক, প্রকাশক ও সংগঠক কে এম সফর আলী–কে জানাই জন্মদিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অগাধ ভালোবাসা।
দেশের অন্যতম শীর্ষ সাহিত্য সংগঠন স্বাধীনবাংলা সাহিত্য পরিষদ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী পরিচালক হিসেবে তিনি সুদীর্ঘদিন ধরে সাহিত্যকে সেবা দিয়ে আসছেন। শুধু তাই নয়, আলোচিত আন্তর্জাতিক কাব্যগ্রন্থ “The Hybrid of Culture” (২০০ লেখকের যৌথ প্রয়াস) এবং দুই বাংলার শত কবির “সমস্বপ্ন” কাব্যগ্রন্থসহ বহু ঐতিহাসিক সম্পাদনার সঙ্গে তিনি যুক্ত। তাঁর সম্পাদিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে— অপরাজয়ে বাংলা, স্বাধীনবাংলা কাব্য সমাহার, কৃষি ও কৃষক, কবিতার মর্মকথা, আঁধার শেষে আলো, তিতাস ডাঙা, রক্ত নদীর বাঁকে, পানকৌড়ির নীড়ে প্রভৃতি।
নিজস্ব সৃষ্টির ভাণ্ডারেও তিনি সমান সমৃদ্ধ। একক কাব্যগ্রন্থ ফাগুনের শঙ্খচিল, মায়ের চোখে ৭১, মুছে যাচ্ছে ইতিহাস ইতিমধ্যেই পাঠক-সমালোচকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। পাশাপাশি অসংখ্য যৌথ কাব্যগ্রন্থে তাঁর কবিতা স্থান পেয়েছে।
প্রকৃতিপ্রেমী ও মরমী ধারা-অনুরাগী এ কবি ছোটবেলা থেকেই নানা অভিজ্ঞতার আলোকে সাহিত্যচর্চায় নিজেকে যুক্ত করেছেন। তাঁর কবিতায় ভেসে ওঠে স্বদেশপ্রেম, মানবিকতা, ইতিহাস-ঐতিহ্য, প্রেম-বিরহ, ভয়-স্মৃতি-বিস্মৃতি, জীবনের দোষ-স্বীকারোক্তি আর অনন্ত আশার হাতছানি। সম্প্রতি তিনি সাহিত্যচর্চার স্বচ্ছ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে স্বাধীনবাংলা সাহিত্য পরিষদ-কে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যা নিঃসন্দেহে তাঁর সাহিত্য জীবনের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বর্তমানে তিনি একক তিনটি নতুন কাব্যগ্রন্থসহ অসংখ্য যৌথ গ্রন্থ নিয়ে কাজ করছেন।
সাহিত্য সৃষ্টির স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ইতিমধ্যেই অর্জন করেছেন অসংখ্য একাডেমি ও সাহিত্য পুরস্কার।
📖 জন্ম ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৮৫ সালে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের দড়িলাপাং গ্রামে। পিতা আব্দুর রাজ্জাক মিয়া এবং মাতা হাজেরা খাতুন-এর সন্তান কবি কে এম সফর আলী এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দীর্ঘ কর্মজীবন শেষে সিঙ্গাপুর প্রবাস থেকে ফিরে এখন বসবাস করছেন নবীনগর সদরের টি অ্যান্ড টি রোডে নিজ বাড়িতে।
ফুল, পাখি, নদী-নালা, খাল-বিল ও সাদা মনের মানুষের প্রতি তাঁর অনুরাগ সীমাহীন। দেশ-বিদেশ ভ্রমণের প্রতি রয়েছে তাঁর গভীর আকর্ষণ। বর্তমানে তিনি সামাজিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান বিডি বাংলাদেশ হোম কেয়ার ও নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার এবং প্রকাশনা সংস্থা স্বাধীনবাংলা সাহিত্য প্রকাশনী নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
আজকের এই বিশেষ দিনে কবি কে এম সফর আলীর জন্য রইল অসীম শুভকামনা ও দোয়া—
তিনি যেন আরও দীর্ঘদিন সাহিত্য-সংস্কৃতির আলোয় আলোকিত করে যান প্রজন্মকে।
Leave a Reply