1. admin@amaderchannel.online : admin :
রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
কালিয়াকৈরে দুর্নীতি প্রতিরোধে করনীয় বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ তরিকত পরিষদের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত দয়াল নবী তোমার দরবারে – আল্লামা পীর নজরুল ইসলাম সাধকপুরী (রহঃ) কালিয়াকৈরে মুর্শিদনগর পাক দরবারের ওরশ মাহফিল অনুষ্ঠিত – আব্দুল আলীম অভি কালিয়াকৈরে জাতীয় নাগরিক পার্টির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত চিকিৎসকের দাম্ভিকতা, ভাই নয় স্যার বলুন! পড় দুরুদ নবী মোস্তফায় – আল্লামা পীর নজরুল ইসলাম সাধকপুরী (রহঃ) কালিয়াকৈরে বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত – আব্দুল আলীম অভি ভাঙা খাঁচার মরমর ধ্বনি – মোহাম্মদ মহররম হোসেন মাহ্দী মানুষ বানাইল আল্লাহ প্রেমের কারণে – আল্লামা পীর নজরুল ইসলাম সাধকপুরী (রহঃ)
ব্রেকিং নিউজ:
কালিয়াকৈরে দুর্নীতি প্রতিরোধে করনীয় বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ তরিকত পরিষদের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত দয়াল নবী তোমার দরবারে – আল্লামা পীর নজরুল ইসলাম সাধকপুরী (রহঃ) কালিয়াকৈরে মুর্শিদনগর পাক দরবারের ওরশ মাহফিল অনুষ্ঠিত – আব্দুল আলীম অভি কালিয়াকৈরে জাতীয় নাগরিক পার্টির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত চিকিৎসকের দাম্ভিকতা, ভাই নয় স্যার বলুন! পড় দুরুদ নবী মোস্তফায় – আল্লামা পীর নজরুল ইসলাম সাধকপুরী (রহঃ) কালিয়াকৈরে বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত – আব্দুল আলীম অভি ভাঙা খাঁচার মরমর ধ্বনি – মোহাম্মদ মহররম হোসেন মাহ্দী মানুষ বানাইল আল্লাহ প্রেমের কারণে – আল্লামা পীর নজরুল ইসলাম সাধকপুরী (রহঃ)
আজ ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি , ২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ইতিহাসের স্মৃতি চিহ্নে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন……

  • Update Time : রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৬৭ Time View

 

প্রিয় শুভার্থীবৃন্দ,

ইতিপূর্বে ধারাবাহিকটি “”ইতিহাস গবেষণা: বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের কিছু কথা ” শিরোনামে ছিল ৷ এই পর্ব থেকে ধারাবাহিকটি ‘ ইতিহাসের স্মৃতি চিহ্নে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ‘ শিরোনামে ধারাবাহিকটি অব্যাহত থাকবে …ধন্যবাদ ৷

” ইতিহাসের স্মৃতি চিহ্নে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন……(ধারাবাহিকঃ চার)

ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির জন্য পশ্চিম পাকিস্তানে বরাদ্দ ছিল ১৩৮টি আসন ৷ এর মধ্যে ৮৮টি আসনে জয়লাভ করে ভট্রোর পিপিপি, এবং প্রাদেশিক পরিষদের ৩৯৯টি আসনের মধ্যে পায় ১৪৪টি ৷ এই বিজয় যথেষ্ট হৃদয়গ্রাহী হলেও আওয়ামী লীগের বিস্ময়কর সাফল্যের কাছে ম্লান হয়ে গিয়েছিল ৷ যাই হোক আওয়ামী লীগের বিপরীতে, প্রভাবশালী ও রাজনৈতিকভাবে মূল্যবান পাঞ্জাবী সম্প্রদায়ের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন ভূট্রো ও তার পিপিপি ৷ পাঞ্জাব প্রদেশে মোট ৮৩টি আসনের মধ্যে পিপিপি পেয়েছিল ৬২টি ৷ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান ও আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য পাঞ্জাবে তাদের এই বিজয়কে পিপিপি একটা সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়েছিল , পশ্চিম পাকিস্তানের আসল প্রতিনিধি হিসেবে গর্বের সঙ্গে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল ভূৃুট্রো ৷ তিনি এটাও পরিস্কার করে দিয়েছিলেন এক ঘোষণায় যে অত সহজেই পরাজয় মেনে নেবেন না: পাকিস্তানে ক্ষমতার দুর্গ হচ্ছে পাঞ্জাব ও সিন্ধু ৷ জাতীয় রাজনীতিতে শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠতা গণ্য হয় না ৷ ভুট্রো ও পিপিপি বাঙালিদের দেখাতে চেয়েছিলেন যে বাঙালিরা পরাস্ত ৷

 

১৯৭১ সালের নির্বাচনে জাতীয় পরিষদ বা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মোট ৩০০টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও পিপিপি পায় ২৪১টি আসন , বাকি ৫৯টি আসনে জয়লাভ করে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো ৷ যাই হোক নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা মাত্রই ইয়াহিয়া অভিনন্দন জানান মুজিব ও ভুট্রোকে ৷ তিনি তাদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য উদগ্রীব ছিলেন, তাদের দুজনকেই ইসলামাবাদে আমন্ত্রণ জানান ৷ মুজিব পশ্চিম পাকিস্তানের রাজধানীতে ইয়াহিয়ার সঙ্গে নির্বাচন- পরবর্তী কোন আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানান ৷ এই লক্ষণীয় পদক্ষেপকে মুজিবের ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অনিচ্ছা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিল কোন কোন মহল; তবে বাস্তবসম্মত ব্যাখ্যা ছিল এই রকম, মুজিব নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে ঢাকায়, ইসলামাবাদে নয় ৷ শেখ মুজিবের পশ্চিম পাকিস্তানে যাওয়ার অস্বীকৃতির ফলে সরকার তাকে পশ্চিম পাকিস্তান বিরুদ্ধী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী অ্যাখায়িত করার সুযোগ পেয়েছিল ৷

 

১৯৭১ সালের ৩রা জানুয়ারী নির্বাচনোত্তর তার প্রথম বক্তৃতাগুলোর একটিতে শেখ মুজিব ঘোষণা করেন, ছয় দফা কর্মসূচির ওপর গণভোটের আইনগত ক্ষমতা প্রদান করেছে জাতীয় নির্বাচন ৷ প্রাদেশিক স্বায়ত্বশাসনের জন্য আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে আর সেজন্য শক্তি ও সম্পদ উৎসর্গ করার অঙ্গীকার করতে প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সব সদস্যকে তার সঙ্গে যোগ দিতে হবে: জনগণকে কায়েমী স্বার্থবাদীর অপব্যবহার ও কশাঘাত থেকে রক্ষা করতে… তিনি পশ্চিম অংশের রাজনৈতিক জাগরণকে স্বাগত জানিয়েছিলেন ; কিন্তু সহযোগিতার জন্য ভুট্রোর পিপল’স পার্টিকে আহবান জানান থেকে বিরত ছিলেন, তার বদলে পশ্চিম পাকিস্তানের জাগ্রত জনতাকে তাদের বাঙালী ভাইদের সঙ্গে যোগদানের আহবান জানান ৷

 

অতঃপর ইয়াহিয়াকে যেতে হয়েছিল ঢাকায় ৷ ১৯৭১ সালের ১২ ই জানুয়ারি তিনি ঢাকায় পৌঁছান ৷ ইয়াহিয়া আশা করেছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রস্তুতকরা খসড়া সংবিধান তাকে দেখাবে মুজিব ৷ তাদের মধ্যে ইতিপূর্বে অনুষ্ঠিত গোপন বৈঠকে মুজিব এই অঙ্গীকার করেছিলেন ৷ নির্বাচনের প্রাক্কালে যেটা করা হয়েছিল সেটাও দেখানোর কথা ছিল ৷ ইয়াহিয়া ও মুজিবের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ১২ই জানুয়ারি , তিন ঘন্টা স্হায়ী হয় সেই বৈঠক ৷ G. W. চৌধরী তার বইতে উল্লেখ করেছেন;

 

” আমি প্রেসিডেন্টের হাউস থেকে ইয়াহিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার চিঠি পাই এবং তার উত্তর দেই ৷ সেখানে আমি তাকে বিরস ও হতাশ দেখতে পাই ৷ তিনি আমাকে বলেন, ‘ মুজিব আমাকে হতাশ করেছেন ৷ তার ব্যাপারে যারা আমাকে সাবধান করেছিল তারাই ছিল ঠিক ; এই ব্যাক্তিকে বিশ্বাস করে আমি ভুল করেছি৷” মুজিব তাকে খসড়া সংবিধান দেখাতে অস্বীকার করেছেন যা দেখাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নির্বাচনের আগে ৷ তিনি ইয়াহিয়ার কাছে পরিস্কার করে দিয়েছেন যে সংখ্যাগুরু দলের নেতা হিসেবে নতুন সংবিধানের জন্য তিনি এবং একমাত্র তিনিই দায়িত্বশীল ব্যক্তি ৷ ইয়াহির কাজ হচ্ছে অবিলম্বে অ্যাসেম্বলি তলব করা ৷ এটা করতে ব্যর্থ হলে ইয়াহিয়াকে ভয়ংকর পরিণতির হুমকি দেন মুজিব ৷ (ক্রমশ)

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 আমাদের চ্যানেল
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: CloudVai-ক্লাউড ভাই