হাতি নিয়ে চাঁদাবাজি বিপজ্জনক
কবির আহমেদ, আশুলিয়াঃ দীর্ঘদিন ধরে আশুলিয়া সহ রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে সারাদেশে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে কতিপয় ব্যক্তি। বিশেষ করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার অলিগলি এবং সড়কে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল বন্ধ করে হাতি দিয়ে টাকা নিতে প্রায়ই দেখা যায়। যা অত্যন্ত বিপজ্জনক, যে কোন সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। একপ্রকার ভয়ে ও বাধ্য হয়ে হাতিকে চাঁদা দিতে হচ্ছে বলে মনে করেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও পথচারীরা। ব্যবসায়ীরা প্রতিষ্ঠানের পণ্য নষ্ট হওয়ার ভয়ে টাকা গুঁজিয়ে দেন। তবে এসব বিষয়ে কেউ কথা বলে না; কারা হাতি নিয়ে চাঁদাবাজি করছে? কে থামাবে হাতির এই চাঁদাবাজি?—এমন প্রশ্ন জেগেছে জনমনে।
হাতির পিঠে চুপ করে বসে থাকেন মাহুত। তার ইশারায় এক দোকান থেকে আরেক দোকানে যায় হাতি। ১০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করে নিচ্ছে দোকানদের কাছ থেকে। যতক্ষণ পর্যন্ত শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দেবে, ততক্ষণ শুঁড় সরায় হাতি; স্থানও ত্যাগ করে না। আবার টাকা না পেলে প্রশিক্ষিত এই প্রাণীটি ক্ষুব্ধ হয়ে উচ্চ স্বরে হুংকার ছাড়ে। আর টাকা পেলে শুঁড় দিয়ে মাহুতকে দিচ্ছে। আর পথচারীদের অনেকে আনন্দ পেয়ে টাকা দিলেও, বেশির ভাগই বন্য প্রাণী দিয়ে টাকা তোলাকে অনৈতিক বলছেন।
এ বিষয়ে ডিএমপি বলছে, ডিএমপির প্রতিটি মিটিংয়ে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির বিষয়ে আলোচনা হয়। যেখানে এমন সংবাদ পাওয়া যাবে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর বন্য প্রাণী দমন অপরাধ ইউনিট বলছে, হাতি লালনপালনের নির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। যারা হাতি নিয়ে দোকানে দোকানে এভাবে টাকা তোলে, এটা নিঃসন্দেহে অপরাধ।
খোলা ময়দানে পাবলিক প্লেসে হাতি দিয়ে এরকম বিপজ্জনক চাঁদাবাজি বন্ধ করা খুবই জরুরী। সংশ্লিষ্ট মহলের কঠোর উদ্যোগ প্রয়োজন।
Leave a Reply