বুকভরা ব্যাথা নিয়ে বিদায়ের প্রহর গুনছি
—শাহ্ সূফী খলিল জালালী
আমি জন্ম নিয়েছি এখন বুকভরা দুঃখ কষ্ট বেদনা নিয়ে বিদায়ের প্রহর গুনছি মাত্র।
“আমি যেদিন বিদায় নিবো সেদিন তোমরা যারা আমার ভক্ত মুরিদান আশেকান আছো ঐদিন আবার মহা-মিলন আনন্দ উৎসব করিও, কেউ যেনো কেঁদো না। আমিই দুনিয়ায় কেঁদে যাচ্ছি, আমি দুনিয়ার আসক্ত নয়। দুনিয়াতে আমি শুধু ব্যাথা বেদনা দুঃখ কষ্ট পেয়েছি।
কিছু কিছু কথা না বললেই নয়। মালিকের কাছে কি জবাব দিবো এ নিয়ে ভাবছি এবং চিন্তায় রয়েছি।
হক পন্থী তারাই যারা আল্লাহর বাণী কোরআনের আইন অনুযায়ী জীবন যাপন করতে সচেষ্ট হয়েছেন।
বেহক পন্থী লোক গুলো , হক পন্থী কোরআনের তাসাউফ পন্থী সুফিবাদের লোকের উপর আক্রমণ করে জাতিকে বিভক্ত করে চলেছে।
মৃত্যুর পরে যে আল্লাহ্ বিচার করবেন একথা অধিকাংশ মানুষ ভুলে গিয়েছেন।
স্কুল কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয় ও মাদরাসা নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কি মানুষ তৈরি হয়?
মানুষের দেহের ভেতরে লুকিয়ে থাকা খান্নাস থাকে যে ইগো/অহংকার/আমিত্ব সৃষ্টি করে যার কারণে মানুষ পশুর স্বভাব পায়। ইবলিশ /শয়তান 😈 /মর্দুদ/খান্নাস পরাজিত করা শিখিয়েছি যাকে সে পরিশুদ্ধ/পবিত্র/আত্মশুদ্ধ মানুষ হয়েছে।
জ্ঞান অন্ধত্বের গজবে আক্রান্ত।
যারা ইসলামের জ্ঞান অর্জন করতে পারেনি।
আল্লাহর বিধান অনুযায়ী তারা ক্ষতিগ্রস্ত।
যারা ইসলাম গ্রহণ করেনি বা আহলে বায়াত পাক পান্জাতনের অনুসারী হয়নি তারাও চরম ক্ষতিগ্রস্থ ও বিভ্রান্তিতে রয়েছে।
এভাবে প্রায় পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত কিন্তু তারা ব্যতিত যারা ঈমানদার এবং সৎকর্ম করে সত্য কথা বলে এবং ধৈর্যধারণ করে।
এখানে আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে যে,
বাংলাদেশের নামধারী মুসলিমগণ বিভিন্ন দল উপদলে বিভক্ত। কেউ ইসলামি রাজনৈতিক দল এবং কেউ ইসলামি অরাজনৈতিক দল। আবার কিছু লোকজন রয়েছে। যারা সরাসরিভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী বা সদস্য নয়।
আরোও কিছু মুসলিম রয়েছে। তারা অনৈসলামিক রাজনৈতিক দল উপদলে বিভক্ত।
এই প্রতিটি দল উপদলের মুসলিমদের মধ্যে
১,যারা ইসলামের জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। তারা আবার মাদরাসা থেকে পাশ করা অধিকাংশ মুফতি মাওলানাদেকে বলে ধর্মান্ধ।
২, যারা নামে মিথ্যা আলেম ওলামা। এরা একে অপরকে বাতিল বলে দাবি করে।
৩, আগে মসজিদে ইমাম কোনো বেতন ভাতা হাদিয়া নিতেন না, বর্তমানে শিক্ষিত লোক গুলো কোরআনের আইন অমান্য করে নিজেদের পেট পুঁজা করার জন্য মুসলমান না হয়ে মসজিদে ইমামের চাকরি করে যা রীতিমতো আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে চলে যায়।
এলাকার লোকজনের কাছ থেকে টাকা তুলে বেতন দিয়ে চলেছে এরাও আবার নিজেদের মুসলমান দাবি করে কি আশ্চর্যের বিষয়।
৪, যারা আহলে বায়াত পাক পান্জাতনের অনুসারী তারা কিন্তু বিভিন্ন তরিকার পীর বুজুর্গের সোহবতে থাকিয়া কিছু আমল এবাদত করার জন্য শিক্ষা গ্রহন করেছেন। এরা বলে যে, অধিকাংশ মুফতি মাওলানা উপাধি পাওয়া লোক গুলো বাতিল।
এভাবেই তাদের মধ্যে সৃষ্টি হল চরম কলহ, বিবাদ,বিচ্ছেদ এবং ঈমান বিনাশী আচরণ প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা।
মূলত এরা কি নবী রাসূলগণ এর দেখানো পথ অনুযায়ী মানুষকে আল্লাহর দিকে আহবান করার দিকনির্দেশনা গ্রহণ করেছে?
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে,
যারা নিজেদেরকে হক পন্থী মুসলিম দাবি করে।
তারা কি তাদের নিকট আল্লাহর শরীয়ত বিধানের দিকে আসার জন্য দাওয়াত পৌঁছে দিয়েছে? না এরা নিজেরা সরাসরি তাদের নিকট দাওয়াত নিয়ে গেছে।
কিন্তু দূরে থেকে এরা একে অপরকে হমক ধমক দিয়েই চলেছে।
যারা নবী রাসুল পয়গম্বর মহাপুরুষ অলি আউলিয়ার প্রেমিক , অলি আউলিয়ার গনের মাজার ভক্ত লোক গুলোর উপর ফরজ নয় কি ? যে ,মিথ্যা আলেম ওলামাকে আল্লাহর বিধান এর প্রতি আহবান করা।
ভাষাবিদ নামে আলেম ওলামার উপর ফরজ নয় কি?
আবার তরিকা পন্থীদের দ্বায়িত্ব নয় কি ? সরাসরি একেঅপরের সাথে আলোচনা করা বা তাদেরকে আল্লাহর দ্বিন ইসলামের দিকে আহবান করা।
যারা শুধুমাত্র নামে মুসলিম। এবং ইসলাম ও আল কোরআনের বিধান সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেনি।
শুনেছে মাত্র কলেমা পাঠ করে বা পড়ে তারা মুসলমান কিন্তু এরাও তাদেরকে ধর্মান্ধ বলছে। যারা আল কোরআনের বিধান সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন।এই শোনা মুসলিমদের উপর ফরজ নয় কি নামধারী মুসলমান ও নামধারী আলেম ওলামাদেরকে এবং তরিকা পন্থীদেরকে আল্লাহর দিন শরীয়তের ও তরিকতের বিধান এর প্রতি আহবান করা।
সূরা আল হুজুরাত (الحجرات), আয়াত: ১১
বাংলা অর্থঃ মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই যালেম।
আসুন আমরা সবাই মৃত্যু পথযাত্রী আল্লাহর আইন অনুযায়ী জীবন যাপন করতে সচেষ্ট হই।
বাংলাদেশে পাক পান্জাতনের অনুসারী প্রায় আট কোটি ভোটার রয়েছি কিন্তু মহানবীর উম্মত ঈমানদার মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
খুবই পরিতাপের বিষয় আহলে বায়াত পাক পান্জাতনের অনুসারীদের নির্দিষ্ট কোনো দল নেই কেনো?
Leave a Reply